সিন্ডিকেট করে এবার একরকম পানির দামে কোরবানির পশুর চামড়া কিনে নিয়েছে ব্যবসায়ীরা। এমনকি সরকারের বেঁধে দেওয়া মূল্যও দেওয়া হয়নি কোথাও।
জুতা প্রস্তুতকারক ও চামড়া ব্যবসায়ীদের তথ্য থেকে দেখা যায়, বর্তমান বাজারে এক জোড়া ভালো মানের চামড়ার জুতার যে দাম, ১০টি গরুর চামড়ার দামও তা নয়।
কোরবানির পশুর চামড়া বিক্রির অর্থ সাধারণত মসজিদ-মাদ্রাসা, এতিমখানা ও গরিব-অসহায় মানুষের হক। চামড়া সন্ডিকেটের কারণে বঞ্চিত হচ্ছে তারা। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে জীবনযাত্রার ব্যয় ও পণ্যের দাম বাড়লেও এই কাঁচা চামড়ার দাম গত এক দশকে অন্তত ৪০০ শতাংশ কমেছে।
এবার ঈদে সর্বনিম্ন ২৫০ টাকা পর্যন্ত কোরবানির পশুর চামড়া বিক্রির খবর পাওয়া গেছে। আর সর্বোচ্চ এক হাজার টাকা বিক্রি হয়েছে আট লাখ টাকা দামের গরুর চামড়া। এই এলাকার একজন মৌসুমি ব্যবসায়ী জানান, তাদের সংগ্রহ করা চামড়ার মূল্য গড়ে সাড়ে ৪০০ টাকা পড়লেও পাইকাররা দাম বলছে ৩০০ টাকা।
জনসাধারণ জানাচ্ছেন, এলাকার যারা কোরবানি দিয়েছেন, তাদের বেশির ভাগ চামড়া মসজিদ-মাদ্রাসায় দিয়েছে। এবার মৌসুমি ব্যবসায়ী নেই। কিছু পাইকার সিন্ডিকেট করে সরাসরি চামড়া কিনেছে। আর মসজিদ-মাদ্রাসার চামড়ায় জমা হওয়া চামড়া তারা গড়ে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা দাম বলছে। তার ভাষ্য, এক জোড়া ভালো জুতার দামও না ১০টা চামড়ার দাম।
দেশে চামড়ার জুতা তৈরির একটি জনপ্রিয় নাম অ্যাপেক্স। প্রতিষ্ঠানটির এক জোড়া ভালো মানের চামড়ার জুতার মাঝারি দাম চার হাজার টাকা।
একটি চামড়া দিয়ে দুই ডজন অর্থাৎ ২৪টির মতো জুতা বানানো যায়। জুতা প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ভাইপার-এর স্বত্বাধিকারী এস এম মোস্তাফিজুর রহমান বায়েজিদের তথ্য এমনই। তবে জুতার ডিজাইন ও আকারের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে।
জুতা তৈরির বাড়তি খরচের কথাও জানালেন বায়েজীদ, ‘কাঁচা চামড়া ও পাকা চামড়ার মধ্যে পার্থক্য আছে। চামড়া পাকা করার প্রক্রিয়ায় একটা বড় খরচ পড়ে। আর এক জোড়া জুতা তৈরি করতে যে শুধু চামড়াই প্রয়োজন পড়ে এমন না। আনুষঙ্গিক অনেক কিছুর প্রয়োজন হয়।’
ধরা যাক একটি মাঝারি আকারের চামড়া দিয়ে ২০ জোড়া জুতা তৈরি হলো। প্রতিটির দাম যদি ২০০০ টাকা হয় তাহলে মোট দাম দাঁড়ায় ৪০ হাজার টাকা। এবারের কোরবানির পশুর চামড়ার গড় দাম ৪০০ টাকা।
এই গড় দাম সরকারের বেঁধে দামের চেয়েও অনেক কম। সরকারের বেঁধে দেওয়া দামেও একটি মাঝারি আকারের গরুর চামড়ার দাম অন্তত এক হাজার টাকা হওয়ার কথা। সেখানে এর তিন ভাগের এক ভাগ দামও মিলছে না বলে অভিযোগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীদের। তাদের দাবি, গত বছর পুঁজি হারানোর পর এবার নড়েচড়ে বসেছেন তারা। চামড়া কিনেছেন নামমাত্র মূল্যে। তার পরও আকাক্সিক্ষত দামে বিক্রি করতে পারবেন কি না তা নিয়ে চিন্তিত। কেননা রাত আটটা পর্যন্ত কেনা দামও বলেননি পাইকাররা।
রাতের মধ্যে চামড়া বেচতে না পারলে নির্ঘাত বড় ধরনের লোকসানে পড়তে হবে বলে আশঙ্কার কথা জানান মোহাম্মদপুর নবোদয় হাউজিং এলাকার মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ী মিল্লাত হোসেন। তিনি ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘আড়াই শ থেকে সাত শর মধ্যে চামড়া কিনছি। সাত শর উপরে কোনো চামড়া কিনি নাই। গত বছর ধরা খাইছি, এবার আর ইচ্ছা নাই। কিন্তু লক্ষণ ভালো ঠেকছে না। শুনেছি অনেকে চামড়া নিয়ে পাইকারদের কাছে গেছে। কিন্তু তাদের কাছে আশানুরূপ দাম পাচ্ছে না।
দেশের চামড়ার মূল চাহিদার একটি বড় অংশ সংগ্রহ হয় কোরবানির ঈদে। সারা দেশে কোরবানি হওয়া পশুর চামড়ার ওপর নির্ভর করে আছে চামড়াশিল্প। পাইকারি চামড়া ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট এবং ট্যানারি মালিকদের সিন্ডিকেট এই দরপতনের কারণ বলে মনে করেন খুচরা ও মৌসুমি ব্যবসায়ীরা।
দিকে কোরবানির পশুর চামড়ার দাম গত বছরের হার অপরিবর্তিত রেখেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সরকার নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী গরুর কাঁচা চামড়ার মূল্য রাজধানীতে প্রতি বর্গফুট ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, ঢাকার বাইরে প্রতি বর্গফুট ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। খাসির কাঁচা চামড়ার মূল্য সারা দেশে ১৮ থেকে ২০ টাকা এবং বকরির কাঁচা চামড়ার মূল্য সারা দেশে ১৩ থেকে ১৫ টাকা।
জুতা প্রস্তুতকারক ও চামড়া ব্যবসায়ীদের তথ্য থেকে দেখা যায়, বর্তমান বাজারে এক জোড়া ভালো মানের চামড়ার জুতার যে দাম, ১০টি গরুর চামড়ার দামও তা নয়।
কোরবানির পশুর চামড়া বিক্রির অর্থ সাধারণত মসজিদ-মাদ্রাসা, এতিমখানা ও গরিব-অসহায় মানুষের হক। চামড়া সন্ডিকেটের কারণে বঞ্চিত হচ্ছে তারা। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে জীবনযাত্রার ব্যয় ও পণ্যের দাম বাড়লেও এই কাঁচা চামড়ার দাম গত এক দশকে অন্তত ৪০০ শতাংশ কমেছে।
এবার ঈদে সর্বনিম্ন ২৫০ টাকা পর্যন্ত কোরবানির পশুর চামড়া বিক্রির খবর পাওয়া গেছে। আর সর্বোচ্চ এক হাজার টাকা বিক্রি হয়েছে আট লাখ টাকা দামের গরুর চামড়া। এই এলাকার একজন মৌসুমি ব্যবসায়ী জানান, তাদের সংগ্রহ করা চামড়ার মূল্য গড়ে সাড়ে ৪০০ টাকা পড়লেও পাইকাররা দাম বলছে ৩০০ টাকা।
জনসাধারণ জানাচ্ছেন, এলাকার যারা কোরবানি দিয়েছেন, তাদের বেশির ভাগ চামড়া মসজিদ-মাদ্রাসায় দিয়েছে। এবার মৌসুমি ব্যবসায়ী নেই। কিছু পাইকার সিন্ডিকেট করে সরাসরি চামড়া কিনেছে। আর মসজিদ-মাদ্রাসার চামড়ায় জমা হওয়া চামড়া তারা গড়ে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা দাম বলছে। তার ভাষ্য, এক জোড়া ভালো জুতার দামও না ১০টা চামড়ার দাম।
দেশে চামড়ার জুতা তৈরির একটি জনপ্রিয় নাম অ্যাপেক্স। প্রতিষ্ঠানটির এক জোড়া ভালো মানের চামড়ার জুতার মাঝারি দাম চার হাজার টাকা।
একটি চামড়া দিয়ে দুই ডজন অর্থাৎ ২৪টির মতো জুতা বানানো যায়। জুতা প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ভাইপার-এর স্বত্বাধিকারী এস এম মোস্তাফিজুর রহমান বায়েজিদের তথ্য এমনই। তবে জুতার ডিজাইন ও আকারের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে।
জুতা তৈরির বাড়তি খরচের কথাও জানালেন বায়েজীদ, ‘কাঁচা চামড়া ও পাকা চামড়ার মধ্যে পার্থক্য আছে। চামড়া পাকা করার প্রক্রিয়ায় একটা বড় খরচ পড়ে। আর এক জোড়া জুতা তৈরি করতে যে শুধু চামড়াই প্রয়োজন পড়ে এমন না। আনুষঙ্গিক অনেক কিছুর প্রয়োজন হয়।’
ধরা যাক একটি মাঝারি আকারের চামড়া দিয়ে ২০ জোড়া জুতা তৈরি হলো। প্রতিটির দাম যদি ২০০০ টাকা হয় তাহলে মোট দাম দাঁড়ায় ৪০ হাজার টাকা। এবারের কোরবানির পশুর চামড়ার গড় দাম ৪০০ টাকা।
এই গড় দাম সরকারের বেঁধে দামের চেয়েও অনেক কম। সরকারের বেঁধে দেওয়া দামেও একটি মাঝারি আকারের গরুর চামড়ার দাম অন্তত এক হাজার টাকা হওয়ার কথা। সেখানে এর তিন ভাগের এক ভাগ দামও মিলছে না বলে অভিযোগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীদের। তাদের দাবি, গত বছর পুঁজি হারানোর পর এবার নড়েচড়ে বসেছেন তারা। চামড়া কিনেছেন নামমাত্র মূল্যে। তার পরও আকাক্সিক্ষত দামে বিক্রি করতে পারবেন কি না তা নিয়ে চিন্তিত। কেননা রাত আটটা পর্যন্ত কেনা দামও বলেননি পাইকাররা।
রাতের মধ্যে চামড়া বেচতে না পারলে নির্ঘাত বড় ধরনের লোকসানে পড়তে হবে বলে আশঙ্কার কথা জানান মোহাম্মদপুর নবোদয় হাউজিং এলাকার মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ী মিল্লাত হোসেন। তিনি ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘আড়াই শ থেকে সাত শর মধ্যে চামড়া কিনছি। সাত শর উপরে কোনো চামড়া কিনি নাই। গত বছর ধরা খাইছি, এবার আর ইচ্ছা নাই। কিন্তু লক্ষণ ভালো ঠেকছে না। শুনেছি অনেকে চামড়া নিয়ে পাইকারদের কাছে গেছে। কিন্তু তাদের কাছে আশানুরূপ দাম পাচ্ছে না।
দেশের চামড়ার মূল চাহিদার একটি বড় অংশ সংগ্রহ হয় কোরবানির ঈদে। সারা দেশে কোরবানি হওয়া পশুর চামড়ার ওপর নির্ভর করে আছে চামড়াশিল্প। পাইকারি চামড়া ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট এবং ট্যানারি মালিকদের সিন্ডিকেট এই দরপতনের কারণ বলে মনে করেন খুচরা ও মৌসুমি ব্যবসায়ীরা।
দিকে কোরবানির পশুর চামড়ার দাম গত বছরের হার অপরিবর্তিত রেখেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সরকার নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী গরুর কাঁচা চামড়ার মূল্য রাজধানীতে প্রতি বর্গফুট ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, ঢাকার বাইরে প্রতি বর্গফুট ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। খাসির কাঁচা চামড়ার মূল্য সারা দেশে ১৮ থেকে ২০ টাকা এবং বকরির কাঁচা চামড়ার মূল্য সারা দেশে ১৩ থেকে ১৫ টাকা।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন