ভারত শাসিত কাশ্মীর নিয়ে সম্প্রতি উত্তেজনা দেখা দিলেও সমস্যাটি দীর্ঘদিনের। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে বেরিয়ে ভারত ও পাকিস্তান নামক দুই রাষ্ট্রের জন্মলঘ্ন থেকেই সংঘাত শুরু। ফলে উপমহাদেশ বা বিশ্বের বিভিন্ন রাজনীতিক নাড়া দিয়েছে কাশ্মীর ইস্যু।
বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও কাশ্মীর ইস্যুটি বেশ গুরুত্ব দিয়েছিলেন। কাশ্মীর সংকট সমাধানে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
বঙ্গবন্ধুর জীবনীগ্রন্থ ‘কারাগারের রোজনামচা’য় বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।
কাশ্মীর নিয়ে শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, ‘অত্যাচার আর গুলি করতে কেহ কাহারো চেয়ে কম পারদর্শী নয়। গুলি করে বা গ্রেফতার করে সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। ভারতের উচিত ছিল গণভোটের মাধ্যমে কাশ্মীরের জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার মেনে নিয়ে দুদেশের মধ্যে একটি স্থায়ী শান্তি চুক্তি করে নেয়া।’
এই সংকটের সমাধানে বঙ্গবন্ধুর পরামর্শ ছিল, ‘পাকিস্তান ও ভারত সামরিক খাতে অর্থ ব্যয় না করে দুই দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য অর্থ ব্যয় করতে পারত। দুদেশের জনগণও উপকৃত হত। ভারত যখন গণতন্ত্রের পূজারি বলে নিজকে মনে করে তখন কাশ্মীরের জনগণের মতামত নিতে কেন আপত্তি করছে? এতে একদিন দুটি দেশই এক ভয়াবহ বিপদের সম্মুখীন হতে বাধ্য হবে।’
জম্মু-কাশ্মীরের জনমতকে উপেক্ষা করায় ভারতের সমালোচনা করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আরও বলেছিলেন, ‘গণতন্ত্রে বিশ্বাসী ভারত, গণতন্ত্রের পথে যেতে রাজি হয় না কেন? কারণ তারা জানে গণভোটের মাধ্যমে কাশ্মীরের জনগণের মতামত নিলে ভারতের পক্ষে কাশ্মীরের লোক ভোট দেবে না। তাই জুলুম করেই দখল রাখতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দুদেশের সরকার কাশ্মীরের একটি শান্তিপূর্ণ ফয়সালা না করে দুই দেশের জনগণের ক্ষতিই করছেন। দুদেশের মধ্যে শান্তি কায়েম হলে, সামরিক বিভাগে বেশি টাকা খরচ না করে দেশের উন্নয়নমূলক কাজে ব্যয় করা যেত। তাতে দুই দেশের জনগণই উপকৃত হতো। আমার মনে হয়, ভারতের একগুঁয়েমিই দায়ী শান্তি না হওয়ার জন্য।’
তথ্যসূত্র: কারাগারের রোজনামচা।
বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও কাশ্মীর ইস্যুটি বেশ গুরুত্ব দিয়েছিলেন। কাশ্মীর সংকট সমাধানে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
বঙ্গবন্ধুর জীবনীগ্রন্থ ‘কারাগারের রোজনামচা’য় বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।
কাশ্মীর নিয়ে শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, ‘অত্যাচার আর গুলি করতে কেহ কাহারো চেয়ে কম পারদর্শী নয়। গুলি করে বা গ্রেফতার করে সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। ভারতের উচিত ছিল গণভোটের মাধ্যমে কাশ্মীরের জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার মেনে নিয়ে দুদেশের মধ্যে একটি স্থায়ী শান্তি চুক্তি করে নেয়া।’
এই সংকটের সমাধানে বঙ্গবন্ধুর পরামর্শ ছিল, ‘পাকিস্তান ও ভারত সামরিক খাতে অর্থ ব্যয় না করে দুই দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য অর্থ ব্যয় করতে পারত। দুদেশের জনগণও উপকৃত হত। ভারত যখন গণতন্ত্রের পূজারি বলে নিজকে মনে করে তখন কাশ্মীরের জনগণের মতামত নিতে কেন আপত্তি করছে? এতে একদিন দুটি দেশই এক ভয়াবহ বিপদের সম্মুখীন হতে বাধ্য হবে।’
জম্মু-কাশ্মীরের জনমতকে উপেক্ষা করায় ভারতের সমালোচনা করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আরও বলেছিলেন, ‘গণতন্ত্রে বিশ্বাসী ভারত, গণতন্ত্রের পথে যেতে রাজি হয় না কেন? কারণ তারা জানে গণভোটের মাধ্যমে কাশ্মীরের জনগণের মতামত নিলে ভারতের পক্ষে কাশ্মীরের লোক ভোট দেবে না। তাই জুলুম করেই দখল রাখতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দুদেশের সরকার কাশ্মীরের একটি শান্তিপূর্ণ ফয়সালা না করে দুই দেশের জনগণের ক্ষতিই করছেন। দুদেশের মধ্যে শান্তি কায়েম হলে, সামরিক বিভাগে বেশি টাকা খরচ না করে দেশের উন্নয়নমূলক কাজে ব্যয় করা যেত। তাতে দুই দেশের জনগণই উপকৃত হতো। আমার মনে হয়, ভারতের একগুঁয়েমিই দায়ী শান্তি না হওয়ার জন্য।’
তথ্যসূত্র: কারাগারের রোজনামচা।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন