চৌদ্দগ্রামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে চালু হচ্ছে বায়োমেট্রিক হাজিরা পদ্ধতি।এখন থেকে আঙুলের ছাপ দিয়েই হাজিরা দিবে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।ফলে স্কুল ফাঁকি দেয়ার কোন সুযোগই থাকছেনা ফাঁকিবাজ শিক্ষার্থী এবং কি শিক্ষকদেরও।কারণ স্কুলে ঢোকার সময় এবং স্কুল ছুটির পর দু-বারই আঙুলের ছাপ দিয়ে প্রবেশ ও বের হতে হবে।কোনক্রমে একবার হাতের ছাপ কিংবা কোনবারই হাতের ছাপ না পড়লে তবে ধরে নেয়া হবে অনুপস্থিত হিসেবে।পরপরই এসএমএসের মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়ে দেয়া হবে অভিভাবককে।
চৌদ্দগ্রামের বেশকিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইতিমধ্যে এই ব্যবস্থা চালু হয়েছে এবং অন্যান্য সকল প্রতিষ্ঠানকেও এর আওতায় আনা হচ্ছে।
সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মৌসুম ভেদে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিদ্যালয়ে উপস্থিতি নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠে। শুরু হয় আলোচনা ও সমালোচনা। বিশেষ করে হাওর অঞ্চলে ধান কাটার সময় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক বিদ্যালয়ে গরহাজির থাকেন। আবার পার্বত্য অঞ্চলে জুমচাষের সিজনে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কমে যায়।
এছাড়াও সারাদেশে অনেক শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা বিদ্যালয়ে এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেই চলে যান! আবার অনেকে দপ্তরির মাধ্যমে হাজিরা খাতা বাড়িতে এনে সই করেন। অনেকে আবার দিনের পর দিন বিদ্যালয়ে না গিয়ে ভাড়া করা শিক্ষকদের মাধ্যমে প্রক্সি দিয়ে (প্যারা শিক্ষক বলা হয়) ক্লাস করিয়ে থাকেন। এসব অনিয়ম বন্ধ করতেই মূলত বায়োমেট্রিক হাজিরা চালুর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
গত মার্চে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর পর ২৮ এপ্রিল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে চিঠি দিয়ে সব জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের তা জানিয়ে দেওয়া হয়। অধিদপ্তরের পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মো. এনামুল কাদের খান স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে সব প্রাথমিক বিদ্যালয়কে তাদের স্লিপ (School Level Improvement Plan- বিদ্যালয় পর্যায়ে উন্নয়ন পরিকল্পনা) ফান্ড থেকে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের মধ্যে এই বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিন কেনার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। বিদ্যালয়গুলো নিজ নিজ দায়িত্বে এই মেশিন আগামী জুনের মধ্যেই কিনবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক প্রধান শিক্ষক বলেন, এ যন্ত্র কেনার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর সরকার দলীয় রাজনৈতিক কর্মী পরিচয়ে স্থানীয় পর্যায়ে একশ্রেণির সিন্ডিকেটের উদ্ভব হয়েছে। তারা কমদামে নিম্নমানের যন্ত্র কিনে স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বেশি দামে সেগুলো বিদ্যালয়গুলোতে গছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।
যন্ত্রের ব্যাপারে তারা বলেন, ‘এ যন্ত্রের কিছু বাস্তবিক সমস্যাও আছে। মফস্বল বা গ্রামাঞ্চলে অবস্থিত অনেক বিদ্যালয়েই বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সংযোগ নেই। আবার বিদ্যুৎ থাকলেও লোডশেডিং এর কারণে বিদ্যুতের দেখা পাওয়া যায় না। এ সকল ক্ষেত্রে বায়োমেট্রিক হাজিরা খুব বেশি কার্যকর হবে না। এছাড়াও বর্তমানে বাজারে প্রচলিত হাজিরা মেশিনের অধিকাংশই চায়না থেকে আমদানিকৃত এবং নিন্মমানের উপাদানে তৈরি। যার কারণে এ সকল যন্ত্র খুব বেশিদিন চলবেও না।’
এ ব্যাপারে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকরাম আল হোসেন বলেন, ‘দেশের বেশিরভাগ এলাকাতেই এখন বিদ্যুৎ আছে। বিদ্যুতের সমস্যা খুব বেশি জায়গায় নেই। আর স্কুল কর্তৃপক্ষ নিশ্চয়ই দেখেশুনে ভালো যন্ত্রটিই কিনবে।’
চৌদ্দগ্রামের বেশকিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইতিমধ্যে এই ব্যবস্থা চালু হয়েছে এবং অন্যান্য সকল প্রতিষ্ঠানকেও এর আওতায় আনা হচ্ছে।
সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মৌসুম ভেদে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিদ্যালয়ে উপস্থিতি নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠে। শুরু হয় আলোচনা ও সমালোচনা। বিশেষ করে হাওর অঞ্চলে ধান কাটার সময় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক বিদ্যালয়ে গরহাজির থাকেন। আবার পার্বত্য অঞ্চলে জুমচাষের সিজনে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কমে যায়।
এছাড়াও সারাদেশে অনেক শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা বিদ্যালয়ে এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেই চলে যান! আবার অনেকে দপ্তরির মাধ্যমে হাজিরা খাতা বাড়িতে এনে সই করেন। অনেকে আবার দিনের পর দিন বিদ্যালয়ে না গিয়ে ভাড়া করা শিক্ষকদের মাধ্যমে প্রক্সি দিয়ে (প্যারা শিক্ষক বলা হয়) ক্লাস করিয়ে থাকেন। এসব অনিয়ম বন্ধ করতেই মূলত বায়োমেট্রিক হাজিরা চালুর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
গত মার্চে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর পর ২৮ এপ্রিল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে চিঠি দিয়ে সব জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের তা জানিয়ে দেওয়া হয়। অধিদপ্তরের পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মো. এনামুল কাদের খান স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে সব প্রাথমিক বিদ্যালয়কে তাদের স্লিপ (School Level Improvement Plan- বিদ্যালয় পর্যায়ে উন্নয়ন পরিকল্পনা) ফান্ড থেকে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের মধ্যে এই বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিন কেনার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। বিদ্যালয়গুলো নিজ নিজ দায়িত্বে এই মেশিন আগামী জুনের মধ্যেই কিনবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক প্রধান শিক্ষক বলেন, এ যন্ত্র কেনার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর সরকার দলীয় রাজনৈতিক কর্মী পরিচয়ে স্থানীয় পর্যায়ে একশ্রেণির সিন্ডিকেটের উদ্ভব হয়েছে। তারা কমদামে নিম্নমানের যন্ত্র কিনে স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বেশি দামে সেগুলো বিদ্যালয়গুলোতে গছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।
যন্ত্রের ব্যাপারে তারা বলেন, ‘এ যন্ত্রের কিছু বাস্তবিক সমস্যাও আছে। মফস্বল বা গ্রামাঞ্চলে অবস্থিত অনেক বিদ্যালয়েই বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সংযোগ নেই। আবার বিদ্যুৎ থাকলেও লোডশেডিং এর কারণে বিদ্যুতের দেখা পাওয়া যায় না। এ সকল ক্ষেত্রে বায়োমেট্রিক হাজিরা খুব বেশি কার্যকর হবে না। এছাড়াও বর্তমানে বাজারে প্রচলিত হাজিরা মেশিনের অধিকাংশই চায়না থেকে আমদানিকৃত এবং নিন্মমানের উপাদানে তৈরি। যার কারণে এ সকল যন্ত্র খুব বেশিদিন চলবেও না।’
এ ব্যাপারে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকরাম আল হোসেন বলেন, ‘দেশের বেশিরভাগ এলাকাতেই এখন বিদ্যুৎ আছে। বিদ্যুতের সমস্যা খুব বেশি জায়গায় নেই। আর স্কুল কর্তৃপক্ষ নিশ্চয়ই দেখেশুনে ভালো যন্ত্রটিই কিনবে।’
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন