সংবাদ সম্মেলন ডেকে অনুপস্থিত বাণিজ্যমন্ত্রী

bdnews24

পেঁয়াজের দাম নিয়ে সমালোচনায় থাকা বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বাণিজ্য বিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে ডেকেও উপস্থিত ছিলেন না ।


ষষ্ঠ ইইউ-বাংলাদেশ বিজনেস ক্লাইমেট ডায়ালগ উপলক্ষে রোববার দুপুরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছিলেন মন্ত্রী।
কিন্তু তার এক ঘণ্টা পর বেলা ২টায় সংবাদ সম্মেলন শুরুর সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের জানানো হয়, মন্ত্রী এবং সচিব মো. জাফর উদ্দীন সংবাদ সম্মেলনে থাকতে পারছেন না।  
পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধির পর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তা নিয়েই সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়ছেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
রোববার বিকাল সাড়ে ৩টায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যর মজুত, সরবরাহ, আমদানি, মূল্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও স্থিতিশীল রাখা নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভাও বাতিল করা হয়। এ সভায়  বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি তোফায়েল আহমেদেরও থাকার কথা ছিল।
ষষ্ঠ ইইউ-বাংলাদেশ বিজনেস ক্লাইমেট ডায়ালগ নিয়ে সচিবালয়ে দুপুর ২টায় সংবাদ সম্মেলন আসেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
তিনি বলেন, “বাণিজ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বিজনেস ক্লাইমেট ডায়ালগ শুরু হলেও জরুরি কাজ থাকায় সংবাদ সম্মেলনে তিনি থাকতে পারেননি।”
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মো. আব্দুল লতিফ বকসী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সকাল ১১টায় ডায়ালগ শুরু হওয়ার পরপরই অর্থ মন্ত্রণালয়ে জরুরি এক বৈঠকে যোগ দেন বাণিজ্যমন্ত্রী ও বাণিজ্যসচিব। তাই নির্ধারিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থাকতে পারেননি।   
অর্থ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা গাজী তৌহিদুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়’ নিয়ে অর্থমন্ত্রীর দপ্তরে বাণিজ্যমন্ত্রী ও সচিবকে নিয়ে বৈঠক করা হয়।
তবে কী নিয়ে অর্থমন্ত্রী ও বাণিজ্যমন্ত্রী বৈঠক করেছেন, তা বলেননি গাজী তৌহিদ।
পেঁয়াজের দামে লাগাম দিতে না পারায় বিভিন্ন মহল থেকে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সমালোচনা উঠেছে।
গত ১৯ নভেম্বর সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে টিপু মুনশি বলেছিলেন, পেঁয়াজের দাম নিয়ে ‘খুব বিপদে’ আছেন তিনি।
এরপর এক অনুষ্ঠানে টিপু মুনশি বলেছিলেন যে তার পদত্যাগে যদি পেঁয়াজের দাম কমে তাহলে এক সেকেন্ডও সময় নেবেন না। তবে তাকে ‘কথার কথা’ বলে উড়িয়ে দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
ইইউ-বাংলাদেশ বাণিজ্য সংলাপ
সংলাপে ঢাকায় ইইউ রাষ্ট্রদূত রেনেসি তেরিংকসহ আট দেশের রাষ্ট্রদূত এবং ব্যবসা খাতের নেতারা উপস্থিত ছিলেন বলে জানান বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
এতে অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “ডায়ালগ একটি চলমান প্রক্রিয়া, অদূর ভবিষ্যতে বাণিজ্য আরও সম্প্রসারিত হবে।”
বিকালে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংলাপের বিষয়বস্তু জানানো হয়।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এমপি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বাংলাদেশের বড় ব্যবসায়িক অংশীদার এবং রপ্তানি বাজার। বাংলাদেশ আগামী ২০২৪ সালে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে। এর তিন বছর পর বাংলাদেশ এলডিসিভুক্ত দেশের সুবিধাগুলো আর পাবে না। এ সময় বাংলাদেশ আশা করে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশকে ‘জিএসপি প্লাস’ বাণিজ্য সুবিধা দেবে।

0/কমেন্ট করুন