কলেজ ছাত্রীর যৌনতার ফাঁদে প্রবাসীরা; সিআইডি তদন্ত

 অনলাইন ডেস্ক: অনলাইনে ফাঁদ পেতে মধ্যপ্রাচ্যের প্রবাসীদের সর্বশান্ত করতো তারা। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি তাদের। ধরা পড়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জালে। প্রতারক ওই দুই নারী নোয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যৌনতাসহ নানা ফাঁদ পেতে প্রবাসীদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিতো।
একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে নোয়াখালী জেলা সিআইডি পুলিশ ওই দুই কলেজ ছাত্রীকে তাদের সহযোগি বিকাশ এজেন্টের এক দোকানদারসহ শনিবার রাতে আটক করেছে। কুয়েত প্রবাসী এক ব্যক্তির অভিযোগে ভিত্তিতে তাদের আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের পর আজ তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
ভুক্তভোগী ওই প্রবাসী বাদী হয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ৪০৬ ও ৪২০ ধারায় প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে সুধারাম থানায় মামলা দায়ের করেন। গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন, বেগমগঞ্জ উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের খাঁনপুর গ্রামের জিল্লুর রহমানের মেয়ে মারজাহান আক্তার (১৯), সেনবাগ উপজেলার কেশার পাড় ইউনিয়নের লেদুয়া গ্রামের গোলাম মাওলার মেয়ে শাহজাদী মজুমদার (২০) এবং নোয়াখালী পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের জয়কৃঞ্চপুর গ্রামের হোসেন আহমদের ছেলে বিকাশ এজেন্ট দোকানদার মোশারফ হোসেন মনু। অভিযুক্তদের আটকের পর তাদের ব্যবহৃত বিকাশ একাউন্টে বিপুল পরিমাণ টাকা লেনদেনের প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ।
জানা যায়, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কুয়েত প্রবাসী ওই যুবককে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যৌনতার ফাঁদে ফেলে কয়েক দফায় সাড়ে ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় এই দুই নারী। কোম্পানীগঞ্জের মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী আরও দুই প্রবাসী যুবকের থেকেও কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় তারা। একই এলাকার বেশ কয়েকজন যুবক এদের জালে ফেঁসেছেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করে।
নোয়াখালী জেলা সিআইডি পুলিশের উপ-পরিদর্শক শাহ আলম মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগ রয়েছে নোয়াখালীতে একাধিক সক্রিয় নারী চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ইমো, হোয়াটসঅ্যাপ, মাস্যেঞ্জারে ইউরোপ প্রবাসীর কন্যা সেজে মধ্যপাচ্য প্রবাসী যুবকদের বিয়ে করে ইউরোপে নেয়ার প্রলোভনে দেখায়। তাদের ফাঁদে ফেলে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেয়। আবার প্রথমে বন্ধুত্বের সম্পর্ক পাতিয়ে ফেসবুক, ইমো, হোয়াটসআপ, মাস্যেঞ্জারে সেক্স করে তা কৌশলে ধারণ করে নেয় পরে এসব ছবি, ভিডিও অনলাইনে ফাঁস করে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ব্ল্যাক মেইল করে। হুমকি-ধামকি দিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়।
এছাড়াও গরীব অসহায় লোককে ক্যান্সারসহ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্তের কথা বলে, মানবিক আবেদন দেখিয়ে, অসুস্থ রোগীদের বানোয়াট ছবি দেখিয়ে সাহায্যের নামে অর্থ হাতিয়ে নেয়। এজন্য তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকগুলো আইডি ব্যবহার করে। টাকা হাতিয়ে নেয়ার পর তারা আইডি গুলো পুরোপুরি ডিএকটিভ করে দেয়।
বাহরাইন প্রবাসী এক যুবক ফোনে গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, গরীব অসুস্থ লোককে সাহায্যের কথা বলে তার কাছ থেকে ৮ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। সম্প্রতি ইমোতে তাকে ব্ল্যাক মেইল করে মোটা অংকের টাকা দাবি করে।

0/কমেন্ট করুন