টাইমস রিপোর্ট: চৌদ্দগ্রামের গুণবতীর প্রধান প্রবেশ মুখের রাস্তার বেহাল দশা। চলাচলে ভোগান্তিতে রয়েছে আটটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী আর ৪০
হাজার সাধারণ মানুষ। উন্নয়নশীল গুণবতী ২৯টি গ্রামের সমন্বয়ে গঠিত ইউনিয়ন। যার প্রবেশ পথে প্রতিদিন গড়ে চলাচল করে ৪০ হাজার মানুষ।তিনটি মাধ্যমিক,ও তিনটি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, একটি ডিগ্রী মাদ্রাসা ও একটি ডিগ্রী কলেজেসহ মোট আটটি প্রতিষ্ঠানের অবস্থান এই গুণবতীতে।উল্লেখ্য প্রতিষ্ঠান গুণবতী রেসিডেন্সিয়াল স্কুল, আল- ফারাবী উচ্চ বিদ্যালয়, গুণবতী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ,আদর্শ প্রি ক্যাডেট, গুণবতী ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসা এবং গুণবতী ডিগ্রী কলেজের প্রায় ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থী চলাচল করে এই পথ দিয়ে। কিন্তু রাস্তার এই বেহাল
দশার কারণে চলতে কষ্ট হচ্ছে সকলেরই। গুণবতী বাজারের এই প্রবেশ পথের মুখেই অধিকাংশ রাস্তা জুড়েই সৃষ্টি বড় বড় গর্তের।
খাদ-খন্দ ও বড় বড় গর্তের কারণে রাস্তাটি এখন যানবাহন ও মানুষ চলাচলের প্রায় অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। রাস্তার ২-১টি অংশের গর্তগুলো এতটাই বড় আকার ধারণ করেছে যে, কেউ চাইলে মাছ চাষ করতে পারবে। একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তাটির ভাঙ্গা অংশে পানি জমে একাকার হয়ে যায়। এতে বর্তমান বর্ষা মৌসুমে হাটু সমান পানিতে মানুষের স্বাভাবিক চলাচলেও সমস্যা হচ্ছে। পাশাপাশি পানির উপর দিয়ে যানবাহন চলাচলের কারণে সিএনজি চালিত অটো রিক্সা, ব্যাটারী চালিত ইজিবাইক, রিক্সাসহ ছোট গাড়িগুলো রাস্তার মধ্যেই বিকল হয়ে পড়ছে অনেক সময়। মাঝ পথে এসব পরিবহণগুলো থমকে যাওয়ার ফলে সাধারণ যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন প্রতিনিয়ত।
স্থানীয়রা জানান, মাঝে মধ্যে সড়ক মেরামতের নামে কিছু ইট ভাঙ্গা রাস্তায় ফেললেও তা পর্যাপ্ত নয়। তাছাড়া অনেক সময় রাস্তায় নিয়মিত চলাচল করা সিএনজি ড্রাইভাররা নিজ খরচেই এসব খাদ-খন্দে ইট-কংক্রিট ফেলে। কিন্তু এসব ইট-কংক্রিত ২-১দিন পরই বৃষ্টির পানিতে মিশে রাস্তা কাদাযুক্ত ও পিচ্ছিল হয়ে ভয়ংকর আকার ধারন করে।
এ বিষয়ে স্থানীয় সিএনজি চালক বেলালসহ আরো অনেকেই জানায় যে ভাঙা রাস্তায় গাড়ী চালানোর ফলে অনেক সময়ই মাঝপথে গাড়ী নষ্ট হয়ে যায় বা থেমে যায়। এতে করে যাত্রীদের বিশেষ করে যারা রোগী তাদের অনেক কষ্ট হয়।এই পথে নিয়মিত যাতায়াত করা স্কুলছাত্র ইমতিয়াজ জানায় যাত্রী ও চালকদের দুর্ভোগের কথা ।ভাঙা রাস্তায় গাড়ীর প্রচণ্ড ঝাকুনিতে বাঁ পায়ে ব্যথা পায় সে।কখনো কখনো পথচারীদের গায়ে ছিটকে পড়ে নোংরা পানি।
জরুরী ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটির ভাঙ্গা অংশগুলোর সংস্কার কাজ না করলে জন-ভোগান্তি আরো চরমে পৌঁছবে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের আশঙ্কা,তাই এ ব্যাপারে কতৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন