স্টাফ রিপোর্টার: কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে চাঁদা না দেয়ায় সন্ত্রাসীরা দোকানে একটি হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে। হামলায় ঘটনায় ব্যবসায়ী আবদুল বারেক, তার ছেলে ইসমাইল হোসেন রাব্বি ও ইউসুফ হোসেন রকিসহ চারজন গুরুতর আহত হয়েছে। উপজেলার কনকাপৈত ইউনিয়নের পন্নারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত ব্যবসায়ী আবদুল বারেক বাদি হয়ে হামলাকারী একই গ্রামের আবদুল গফুরের ছেলে আবদুল হামিদ লিমন, আবদুল হালিম ঝুমন ও আবদুল হাইয়ের ছেলে জাবেদ হোসেন ফয়সালের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪-৫ জনকে আসামী করে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সরেজমিন পরিদর্শন ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ব্যবসায়ী আবদুল বারেকের ছেলে ইসমাইল হোসেন রাব্বি তার ব্যবহৃত মোটর সাইকেলটি কিছুদিন আগে বিক্রির জন্য ক্রেতা খুঁজছিল। আবদুল হামিদ লিমন মোটর সাইকেলটি তাঁর বন্ধু হাছানের কাছে বিক্রি করতে বলে। এক পর্যায়ে হাছানের কাছে মোটর সাইকেলটি বিক্রি করা হয়। লিমন মোটর সাইকেল বিক্রি করে দেয়ায় চাঁদা বাবদ ১৫ হাজার টাকা দাবি করে। রাব্বি সেই চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। এতে ক্ষীপ্ত হয়ে লিমন মোটর সাইকেলের মালিক রাব্বি ও তার পরিবারের লোকজনকে দেখে নেবে বলে হুমকি দেয়। এরই মধ্যে মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় লিমন, ঝুমন ও ফয়সালসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪-৫ জন লাঠিসোঠা ও লোহার রড নিয়ে ব্যবসায়ী আবদুল বারেকের মুদি দোকানে প্রবেশ করে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। এতে বাধা দেয়ায় সন্ত্রাসীরা ব্যবসায়ী আবদুল বারেককে পিটিয়ে জখম ও প্রাণে হত্যার চেষ্টা চালায়।
এ সময় চিৎকার শুনে বারেকের ছেলে রাব্বি, রকি ও ভাই আবুল কালাম এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা তাদের উপরও হামলা চালায়। অবস্থা বেগতিক দেখে ৯৯৯-এ ফোন করার চেষ্টা করলে সন্ত্রাসীরা মোবাইল ফোনটি, দোকানের ক্যাশ থেকে নগদ ৩০ হাজার টাকা লুটে নেয় এবং ভাংচুর চালিয়ে প্রায় ১৫ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করে। হামলার খবর শুনে এলাকার লোকজন এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা এ ঘটনায় বাড়াবাড়ি করলে রাতের অন্ধকারে বসতঘর জ্বালিয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়। তাৎক্ষণিক খবর পেয়ে কনকাপৈত পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এদিকে আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকে অভিযোগ করেন, আসামীরা এলাকায় চুরি-ছিনতাই ও ইয়াবা ব্যবসাসহ নানাবিধ সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে। তাদের অত্যাচারে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
এ ব্যাপারে কনকাপৈত পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোঃ কায়সার হামিদ বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি তদন্ত চলছে’।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন