টাইমস স্পোর্টস: এ ম্যাচ থেকে পাওয়ার কিছু ছিল না, শুধু মর্যাদা ছাড়া। সে ম্যাচে বাংলাদেশের বোলিং ও ফিল্ডিং ছিল দৃষ্টিকটু। এমন অপ্রত্যাশিত সহযোগিতা পেয়ে পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরাও ফায়দা তুলেছেন। ৩১৬ রানের বিশাল লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছেন। তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ পথ হারিয়েছে শুরুতেই।
দ্বিতীয় ওভারে জীবন পাওয়া সৌম্য ফিরে গেছেন ষষ্ঠ ওভারে। পুরো বিশ্বকাপে কোনো ফিফটি না পাওয়া সৌম্য আজও তাঁর ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন। তাঁর ওপেনিং সঙ্গীও দেরি করেননি। দুঃস্বপ্নের এক বিশ্বকাপ কাটানো তামিম ফিরেছেন ১১তম ওভারে। ২১ বলে ৮ রানের আরেকটি প্রশ্নবিদ্ধ ইনিংস খেলেছেন। বিশ্বকাপে ইনিংস গড়ার কাজটা তামিমের আর করে দেখানো হলো না এবার।
তিনে নেমে মুশফিকও খুব বেশিক্ষণ টিকেননি, ১৬ করেই দায়িত্ব শেষ বলে ধরে নিয়েছেন। একমাত্র ব্যতিক্রম ছিলেন সাকিব আল হাসান। আজও ফিফটি পেরিয়েছেন। এতেই শচীন টেন্ডুলকারের পর মাত্র দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে এক বিশ্বকাপে সাতটি ইনিংসে পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস খেলার রেকর্ড গড়েছেন। শচীনের কীর্তি ছিল ১১ ম্যাচে, আর সাকিব সেটা করেছেন মাত্র ৮ ম্যাচে। এর মাঝেই মাত্র তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে এক বিশ্বকাপে ৬০০ রান তুলেছেন সাকিব। বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার সর্বকালের সেরা বিশ্বকাপ পারফরম্যান্স না করলে এ বিশ্বকাপ থেকে বাংলাদেশের প্রাপ্তি হয়তো শূন্যই থাকত!
মাঝে লিটন দাস (৩২) এসে সাকিবকে কিছু সঙ্গ দিয়েছেন। দুজনের ৫৮ রানের জুটির সময়ই যা একটু ম্যাচে সমতা ছিল। কিন্তু ২৯তম ওভারে সেটাও থামল। সেটাই যে ইনিংসের সবচেয়ে বড় জুটি হবে সেটা তখনো ভাবা যায়নি। ৬৪ রান করে সাকিব ফেরার পর বাংলাদেশের ইনিংসের গল্পটা খুব সাধারণ। ব্যাটসম্যানরা এসেছেন, সময় কাটানোর ব্যর্থ চেষ্টা করেছেন এবং একটু পরেই ফিরে গেছেন। মাহমুদউল্লাহর ২৯, কিংবা মোসাদ্দেকের ১৬ রান হারের ব্যবধান খুব একটা কমাতেও পারেনি। এর মাঝেই সবচেয়ে কম বয়সে বিশ্বকাপে ৫ উইকেট প্রাপ্তি হয়ে গেছে শাহিন আফ্রিদির। বিশ্বকাপে নিজের শেষ ইনিংসে কিছু ছকা মেরে আনন্দ দিয়েছেন মাশরাফি (১৫)। কিন্তু পাকিস্তানের বিপক্ষে এত বিশাল ব্যবধানে হারের দুঃখ কি আর তাতে ঢাকে?
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন