নতুন কুমিল্লা রিপোর্ট: চৌদ্দগ্রামে প্রেমের টানে ওমান প্রবাসী শামীম ফয়সাল নামের পূর্বের প্রেমিকের সাথে এক শিশু কন্যাকে নিয়ে পালিয়েছে সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী উম্মে রোম্মান নিশাত (২১)।
এ ঘটনায় নিশাতের শাশুড়ি খোদেজা আক্তার চৌধুরী বাদি হয়ে গৃহবধু নিশাত, তার বাবা চিওড়া ইউনিয়নের ছোট সাতবাড়িয়া গ্রামের গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী, মা আফসার বেগম, প্রেমিক কান্দিরপাড় গ্রামের জিএম শামীম ফয়সালের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে গুরুত্ব দিয়েছেন-নাতনিকে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চিওড়া ইউনিয়নের কান্দিরপাড় গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে জিএম শামিম ফয়সালের(২৫) সাথে ৫ বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল পাশ্ববর্তী সাতবাড়িয়া গ্রামের জনৈক ব্যবসায়ীর কন্যা উম্মে রোম্মান নিশাতের। কিন্তু প্রেমের বিষয়টি শুরু থেকেই ছেলে ও মেয়ের পরিবার মেনে নেয়নি।
ফলশ্রুতিতে ২০১৪ সালের ১৮ অক্টোবর পাশ্ববর্তী লালমাই উপজেলার বেলঘর উত্তর ইউনিয়নের ছোট শরীফপুর গ্রামের হাজী আব্দুল গফুরের পুত্র সৌদি প্রবাসী খছরুল হায়দার আরিফের সাথে ইসলামী শরিআহ্ মোতাবেক নিশাতের বিবাহ সম্পন্ন হয়। হায়দার আরিফ সম্পর্কে মেয়ের ফুফাতো ভাই। বিবাহের পরে তাদের সংসারে একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। এর কিছুদিন পর অর্থ্যাৎ বিগত ২-৩ বছর পূর্বে প্রেমিক শামিমও জীবিকার টানে ওমান চলে যায়।
অভিযোগে জানা যায়, বিগত ৪-৫ মাস পূর্বে নিশাত কন্যাসহ বেড়ানোর কথা বলে পিতার বাড়িতে চলে যায়। গত ৫-৭ দিন পূর্বে নিশাতকে স্বামীর বাড়িতে পাঠানোর কথা বললে তার মা ও বাবা বলে কয়েকদিন পরে যাবে। এর মধ্যে লোকমাধ্যমে শোনা যায় পূর্বের প্রেমিক শামিমের সাথে নিশাত তার চার বছর বয়সী মেয়েসহ পালিয়ে গেছে।
নিশাতের শাশুড়ি আরও জানায়, বিবাহের পর থেকেই স্বামী প্রবাসে থাকার সুযোগে নিশাত পূর্বের প্রেমিক ফয়সালের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করতো। তিনি আরও জানান, বয়স কম হওয়ায় বুঝ হলে হয়তো ঠিক হয়ে যাবে এ ধারনায় মেয়েটির উপর কঠোরতা আরোপ করা হয়নি। কিন্তু দিনের পর দিন তাদের যোগাযোগ বেড়ে যাওয়ায় এ নিয়ে বিভিন্ন সময় পারিবারিক কলহেরও সৃষ্টি হয়।
পুত্রবধু নিশাত পিত্রালয় সাতবাড়িয়ায় গেলে ফয়সালের পরিবারের সাথেও যোগাযোগ রক্ষা করে চলতো এবং নিয়মিত ফোনে কথা বলতো। এসব ঘটনায় আমার ছেলে দেশে এসে ফয়সালের সাথে নিশার কথোপকথনের কললিস্টও বের করে। তিনি জানান, এ ঘটনায় বাড়াবাড়ি না করতে বিবাদীগণ ও বিভিন্ন মাধ্যম থেকে হুমকি ধমকি প্রদান করা হচ্ছে।
এদিকে সৌদি প্রবাসী হায়দার আরিফ জানান, সম্পূর্ণ পূর্বের প্রেমের কথা জেনেও মেয়ে রাজী হওয়ায় বিবাহ করি। কিন্তু বিবাহের পর পূর্বের প্রেমিক ফয়সাল আমার প্রবাসে থাকার সুযোগে নিয়মিত যোগাযোগ করতো। প্রেমিকের সাথে পালিয়ে যাওয়ার পর গত ১১ মে তারিখ রাতেও মেয়ের ও ছেলের (ফয়সাল) পরিবারের মধ্যে বৈঠক হয়। বৈঠকে ২ দিনের মধ্যে মেয়েকে হাজির করে দিবে বলেও কথা দেয় ফয়সালের পরিবার।
এ সময় আরিফ কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, বউ গেছে তার ভাগ্য নিয়ে কিন্তু আমার নিষ্পাপ শিশু সন্তানকে কেন নিল? এ সময় তিনি একমাত্র সন্তানের জন্য কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন এবং সন্তানকে উদ্ধারে দ্রুত প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করেন।
এদিকে নিশাতের বাবা গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী বাবা জানান, বিষয়টি গত ৩ দিন পূর্বেও আমার নিয়ন্ত্রনে ছিল কিন্তু আজ (সোমবার ভোর) থেকে আমার নিয়ন্ত্রনে নেই। আমার বোন (নিশাতের শাশুড়ি) উল্টো আমার ও পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। মেয়ের বিষয়ে জিজ্ঞাস করলে তিনি জানান, ফয়সালের সাথে বিবাহ হয়েছে বলে শুনেছি কিন্তু এ বিবাহ কোনভাবেই বৈধ হবে না।
আমার মেয়ে এখনও আরেকজনের স্ত্রী। সেখাকে কাউকে কেউ এখনও ডিভোর্সও দেয়নি। তিনি ফয়সালের প্রতি পরামর্শ রেখে বলেন, সে (ফয়সাল) আমার মেয়েকে আমার নিকট ফেরৎ দিক। তিনমাস পার হওয়ার পর সে আমার মেয়েকে বিয়ে করুক কোন আপত্তি নেই। এছাড়া কোনভাবেই তার বিবাহ শরিআহ ও আইনিভাবে বৈধ হবেনা।
প্রবাসে আছেন দাবি করে প্রেমিক জিএম শামীম ফয়সালের সাথে যোগাযোগ করলে সে জানায়, এ অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, আমি দেশেই যাইনি। কিন্তু ফেসবুকে গত ১০ মে তার আইডি থেকে প্রদানকৃত দেশে আসার পোষ্ট এতে লোকেশান শাহজালাল এয়ারপোর্ট, ঢাকা উল্লেখিত স্ক্রিনশর্টটি দেখালে সে চুপ থাকে। সে দাম্ভোক্তির সহিত উত্তর না দিয়ে জানায় আমি যা বলার ফেসবুক লাইভে বলেছি আর কিছু বলতে পারবো না। আপনারা (সাংবাদিকরা) যা পারেন লিখেন। ফয়সালকে তার ভিসার কপি দেখাতে বললে সে ভিসার কপি তার কাছে নাই বলেও জানায়।
চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার প্রেক্ষিতে চৌদ্দগ্রাম থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই নাছির উদ্দিন নতুন কুমিল্লাকে জানান, গৃহবধুর পলায়নের প্রেক্ষিতে এবং নাতনির সন্ধান চেয়ে গৃহবধুর শাশুড়ি চৌদ্দগ্রাম থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। আমরা গৃহবধু ও কন্যা সন্তানটিকে উদ্ধারের চেষ্টা করছি। তদন্ত স্বাপেক্ষে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ঘটনায় নিশাতের শাশুড়ি খোদেজা আক্তার চৌধুরী বাদি হয়ে গৃহবধু নিশাত, তার বাবা চিওড়া ইউনিয়নের ছোট সাতবাড়িয়া গ্রামের গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী, মা আফসার বেগম, প্রেমিক কান্দিরপাড় গ্রামের জিএম শামীম ফয়সালের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে গুরুত্ব দিয়েছেন-নাতনিকে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চিওড়া ইউনিয়নের কান্দিরপাড় গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে জিএম শামিম ফয়সালের(২৫) সাথে ৫ বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল পাশ্ববর্তী সাতবাড়িয়া গ্রামের জনৈক ব্যবসায়ীর কন্যা উম্মে রোম্মান নিশাতের। কিন্তু প্রেমের বিষয়টি শুরু থেকেই ছেলে ও মেয়ের পরিবার মেনে নেয়নি।
ফলশ্রুতিতে ২০১৪ সালের ১৮ অক্টোবর পাশ্ববর্তী লালমাই উপজেলার বেলঘর উত্তর ইউনিয়নের ছোট শরীফপুর গ্রামের হাজী আব্দুল গফুরের পুত্র সৌদি প্রবাসী খছরুল হায়দার আরিফের সাথে ইসলামী শরিআহ্ মোতাবেক নিশাতের বিবাহ সম্পন্ন হয়। হায়দার আরিফ সম্পর্কে মেয়ের ফুফাতো ভাই। বিবাহের পরে তাদের সংসারে একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। এর কিছুদিন পর অর্থ্যাৎ বিগত ২-৩ বছর পূর্বে প্রেমিক শামিমও জীবিকার টানে ওমান চলে যায়।
অভিযোগে জানা যায়, বিগত ৪-৫ মাস পূর্বে নিশাত কন্যাসহ বেড়ানোর কথা বলে পিতার বাড়িতে চলে যায়। গত ৫-৭ দিন পূর্বে নিশাতকে স্বামীর বাড়িতে পাঠানোর কথা বললে তার মা ও বাবা বলে কয়েকদিন পরে যাবে। এর মধ্যে লোকমাধ্যমে শোনা যায় পূর্বের প্রেমিক শামিমের সাথে নিশাত তার চার বছর বয়সী মেয়েসহ পালিয়ে গেছে।
নিশাতের শাশুড়ি আরও জানায়, বিবাহের পর থেকেই স্বামী প্রবাসে থাকার সুযোগে নিশাত পূর্বের প্রেমিক ফয়সালের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করতো। তিনি আরও জানান, বয়স কম হওয়ায় বুঝ হলে হয়তো ঠিক হয়ে যাবে এ ধারনায় মেয়েটির উপর কঠোরতা আরোপ করা হয়নি। কিন্তু দিনের পর দিন তাদের যোগাযোগ বেড়ে যাওয়ায় এ নিয়ে বিভিন্ন সময় পারিবারিক কলহেরও সৃষ্টি হয়।
পুত্রবধু নিশাত পিত্রালয় সাতবাড়িয়ায় গেলে ফয়সালের পরিবারের সাথেও যোগাযোগ রক্ষা করে চলতো এবং নিয়মিত ফোনে কথা বলতো। এসব ঘটনায় আমার ছেলে দেশে এসে ফয়সালের সাথে নিশার কথোপকথনের কললিস্টও বের করে। তিনি জানান, এ ঘটনায় বাড়াবাড়ি না করতে বিবাদীগণ ও বিভিন্ন মাধ্যম থেকে হুমকি ধমকি প্রদান করা হচ্ছে।
এদিকে সৌদি প্রবাসী হায়দার আরিফ জানান, সম্পূর্ণ পূর্বের প্রেমের কথা জেনেও মেয়ে রাজী হওয়ায় বিবাহ করি। কিন্তু বিবাহের পর পূর্বের প্রেমিক ফয়সাল আমার প্রবাসে থাকার সুযোগে নিয়মিত যোগাযোগ করতো। প্রেমিকের সাথে পালিয়ে যাওয়ার পর গত ১১ মে তারিখ রাতেও মেয়ের ও ছেলের (ফয়সাল) পরিবারের মধ্যে বৈঠক হয়। বৈঠকে ২ দিনের মধ্যে মেয়েকে হাজির করে দিবে বলেও কথা দেয় ফয়সালের পরিবার।
এ সময় আরিফ কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, বউ গেছে তার ভাগ্য নিয়ে কিন্তু আমার নিষ্পাপ শিশু সন্তানকে কেন নিল? এ সময় তিনি একমাত্র সন্তানের জন্য কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন এবং সন্তানকে উদ্ধারে দ্রুত প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করেন।
এদিকে নিশাতের বাবা গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী বাবা জানান, বিষয়টি গত ৩ দিন পূর্বেও আমার নিয়ন্ত্রনে ছিল কিন্তু আজ (সোমবার ভোর) থেকে আমার নিয়ন্ত্রনে নেই। আমার বোন (নিশাতের শাশুড়ি) উল্টো আমার ও পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। মেয়ের বিষয়ে জিজ্ঞাস করলে তিনি জানান, ফয়সালের সাথে বিবাহ হয়েছে বলে শুনেছি কিন্তু এ বিবাহ কোনভাবেই বৈধ হবে না।
আমার মেয়ে এখনও আরেকজনের স্ত্রী। সেখাকে কাউকে কেউ এখনও ডিভোর্সও দেয়নি। তিনি ফয়সালের প্রতি পরামর্শ রেখে বলেন, সে (ফয়সাল) আমার মেয়েকে আমার নিকট ফেরৎ দিক। তিনমাস পার হওয়ার পর সে আমার মেয়েকে বিয়ে করুক কোন আপত্তি নেই। এছাড়া কোনভাবেই তার বিবাহ শরিআহ ও আইনিভাবে বৈধ হবেনা।
প্রবাসে আছেন দাবি করে প্রেমিক জিএম শামীম ফয়সালের সাথে যোগাযোগ করলে সে জানায়, এ অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, আমি দেশেই যাইনি। কিন্তু ফেসবুকে গত ১০ মে তার আইডি থেকে প্রদানকৃত দেশে আসার পোষ্ট এতে লোকেশান শাহজালাল এয়ারপোর্ট, ঢাকা উল্লেখিত স্ক্রিনশর্টটি দেখালে সে চুপ থাকে। সে দাম্ভোক্তির সহিত উত্তর না দিয়ে জানায় আমি যা বলার ফেসবুক লাইভে বলেছি আর কিছু বলতে পারবো না। আপনারা (সাংবাদিকরা) যা পারেন লিখেন। ফয়সালকে তার ভিসার কপি দেখাতে বললে সে ভিসার কপি তার কাছে নাই বলেও জানায়।
চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার প্রেক্ষিতে চৌদ্দগ্রাম থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই নাছির উদ্দিন নতুন কুমিল্লাকে জানান, গৃহবধুর পলায়নের প্রেক্ষিতে এবং নাতনির সন্ধান চেয়ে গৃহবধুর শাশুড়ি চৌদ্দগ্রাম থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। আমরা গৃহবধু ও কন্যা সন্তানটিকে উদ্ধারের চেষ্টা করছি। তদন্ত স্বাপেক্ষে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন