টাইমস জার্নাল:
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ক্রমাগত বেড়ে চলছে অনলাইন ভিত্তিক ভিডিও গেইম আসক্তিদের সংখ্যা।যার মধ্যে উল্ল্যেখ্যোগ্য পাবজি ও ফ্রী ফায়ার গেইম।
চৌদ্দগ্রাম টাইমসের একটি সমিক্ষায় দেখা গেছে চৌদ্দগ্রামের ৮০ শতাংশ তরুণ এসব গেইমে আসক্ত,যার মধ্যে ফ্রী ফায়ার আসক্তির সংখ্যাই বেশি।এই সমিক্ষায় চৌদ্দগ্রামের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মাঝে পরিক্ষা করে দেখা গেছে প্রতি ১০ জনের ৭ জনই পাবজি অথবা ফ্রী ফায়ার গেইম খেলছে।যার ফলে পড়ালেখায় ক্ষতিসহ অসংখ্য ক্ষতি সাধনের স্বীকার হচ্ছে যুবক তরুণ এবং শিশুরাও।অনেক জায়গায় এই গেইমকে উপলক্ষ্য করে আত্মহত্যার মতো ঘটনাও ঘটেছে।
অল্পবয়সীদের মধ্যে বাড়ছে হিংসা। ভার্চুয়াল জগতের মোহে তারা সরে যাচ্ছে বাস্তবতা থেকে। এই অভিযোগে এর আগেও বিশ্বের একাধিক দেশে নিষিদ্ধ হয়েছে পাবজি ও ফ্রী ফায়ারের মতো গেইমগুলো।
এই পাবজি ও ফ্রী ফায়ার খেলার দশটি অপকারী দিক তুলে ধরা হলো:-
১)প্রথমত, ভার্চুয়াল গেমিং এ এটি অন্যান্য গেমগুলোর থেকে বেশী আসক্তিকর যার ফলে যে কেউ একবার এ গেম খেললে খুব কঠিন হয়ে পরে বাদ দেয়া।
২)তৃতীয় বিশ্বে বিশেষ করে বাংলাদেশ ভারত নেপাল মায়ানমার এসব দেশের জন্য এ গেমটি সবচেয়ে বিপদজনক কারন,বর্তমানে তৃতীয় বিশ্বের এসব সল্পোন্নত দেশগুলোর যুবসমাজের মধ্যে এ গেমটির প্রতি আসক্তি মারাত্মকভাবে লক্ষ করা যাচ্ছে,যা গোটা জাতির জন্যই হুমকিস্বরূপ।
৩)সময় নষ্ট : পাবজিতে প্রতিটি ম্যাচ শেষ হতে সময় নেয় ২৫-৩৫ মিনিট,যার ফলে কয়েকটি ম্যাচ খেলতে খেলতেই কয়েক ঘন্টা অনায়াসেই চলে যায়।
৪)ঘন্টার পর ঘন্টা এ গেমটি খেললে চোখ এবং কান দুটোরই বেশ ক্ষতি হয়।
৫)অধিকাংশ তরুন এবং যুবকই রাত ২.৩-৩টা বা সারারাত জেগে পাবজি খেলেন যার ফলে তাদের মধ্য খিনখিটে ভাব চলে আসে,মাথাব্যথা,ক্ষুধামন্দা,গ্যাস্টিক এর মতো সমস্যায় অনায়াসেই জড়িয়ে পড়ে।
৬)ইতোমধ্যই নেপালে এ গেমটির প্রভাবে তরুনদের মাঝে হিংস্রাত্মক প্রবনতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
৭)এ গেমটির প্রভাবে অনেক তরুনই তার পিতামাতা,আত্মীয় স্বজন এবং কাছের মানুষ বা সমাজিক অন্যান্য কাজ থেকে অনেকটা দূরে সরে যাচ্ছে।
৮)চুরি প্রবনতা বৃদ্ধি : পাবজির জন্য ল্যাপটপ প্যাড অথবা নূন্যতম ৪ জিবি র্যাম এর মোবাইল ফোন দরকার,বর্তমানে পাবজির প্রতিটি আপডেট এ এর ডেটা সাইজ বৃদ্ধি করায় ৩ জিবি রেমের মোবাইল দিয়ে খেলা দু:ষাধ্য হয়ে পরেছে,যার কারনে অনেক তরুনই ভালো মোবাইল বা ল্যাপটপ কেনার জন্য চুরি বা হাতটানের পথ বেছে নিচ্ছে।
৯)আমাদের দেহ একটি সাইকেল এর মতো কাজ করে । এ দেহঘড়ি এলোমেলো হয়ে গেলে ডিপ্রেশান, দুঃশ্চিন্তা, মনোবৈকল্য, অনিদ্রা ছাড়াও ক্যান্সার বিশেষ করে নারীদের breast cancer ও পুরুষদের prostate cancer হতে পারে।
১০)রাতে কম ঘুমানোর ফলে মেলাটোনিন হরমোন সিক্রেট কম হয় এর অভাবে কোষীয় চক্রে অনিয়ম ও DNA damage কে ক্যান্সারের কারন হিসাবে ধরা হয়।
আপনি,আপনার সন্তান,ছোট ভাই,বন্ধু কিংবা আত্মীয় এই গেইমে আসক্ত হচ্ছে নাতো?
এখন সিদ্ধান্ত আপনার।
কী করবেন?
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ক্রমাগত বেড়ে চলছে অনলাইন ভিত্তিক ভিডিও গেইম আসক্তিদের সংখ্যা।যার মধ্যে উল্ল্যেখ্যোগ্য পাবজি ও ফ্রী ফায়ার গেইম।
চৌদ্দগ্রাম টাইমসের একটি সমিক্ষায় দেখা গেছে চৌদ্দগ্রামের ৮০ শতাংশ তরুণ এসব গেইমে আসক্ত,যার মধ্যে ফ্রী ফায়ার আসক্তির সংখ্যাই বেশি।এই সমিক্ষায় চৌদ্দগ্রামের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মাঝে পরিক্ষা করে দেখা গেছে প্রতি ১০ জনের ৭ জনই পাবজি অথবা ফ্রী ফায়ার গেইম খেলছে।যার ফলে পড়ালেখায় ক্ষতিসহ অসংখ্য ক্ষতি সাধনের স্বীকার হচ্ছে যুবক তরুণ এবং শিশুরাও।অনেক জায়গায় এই গেইমকে উপলক্ষ্য করে আত্মহত্যার মতো ঘটনাও ঘটেছে।
অল্পবয়সীদের মধ্যে বাড়ছে হিংসা। ভার্চুয়াল জগতের মোহে তারা সরে যাচ্ছে বাস্তবতা থেকে। এই অভিযোগে এর আগেও বিশ্বের একাধিক দেশে নিষিদ্ধ হয়েছে পাবজি ও ফ্রী ফায়ারের মতো গেইমগুলো।
এই পাবজি ও ফ্রী ফায়ার খেলার দশটি অপকারী দিক তুলে ধরা হলো:-
১)প্রথমত, ভার্চুয়াল গেমিং এ এটি অন্যান্য গেমগুলোর থেকে বেশী আসক্তিকর যার ফলে যে কেউ একবার এ গেম খেললে খুব কঠিন হয়ে পরে বাদ দেয়া।
২)তৃতীয় বিশ্বে বিশেষ করে বাংলাদেশ ভারত নেপাল মায়ানমার এসব দেশের জন্য এ গেমটি সবচেয়ে বিপদজনক কারন,বর্তমানে তৃতীয় বিশ্বের এসব সল্পোন্নত দেশগুলোর যুবসমাজের মধ্যে এ গেমটির প্রতি আসক্তি মারাত্মকভাবে লক্ষ করা যাচ্ছে,যা গোটা জাতির জন্যই হুমকিস্বরূপ।
৩)সময় নষ্ট : পাবজিতে প্রতিটি ম্যাচ শেষ হতে সময় নেয় ২৫-৩৫ মিনিট,যার ফলে কয়েকটি ম্যাচ খেলতে খেলতেই কয়েক ঘন্টা অনায়াসেই চলে যায়।
৪)ঘন্টার পর ঘন্টা এ গেমটি খেললে চোখ এবং কান দুটোরই বেশ ক্ষতি হয়।
৫)অধিকাংশ তরুন এবং যুবকই রাত ২.৩-৩টা বা সারারাত জেগে পাবজি খেলেন যার ফলে তাদের মধ্য খিনখিটে ভাব চলে আসে,মাথাব্যথা,ক্ষুধামন্দা,গ্যাস্টিক এর মতো সমস্যায় অনায়াসেই জড়িয়ে পড়ে।
৬)ইতোমধ্যই নেপালে এ গেমটির প্রভাবে তরুনদের মাঝে হিংস্রাত্মক প্রবনতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
৭)এ গেমটির প্রভাবে অনেক তরুনই তার পিতামাতা,আত্মীয় স্বজন এবং কাছের মানুষ বা সমাজিক অন্যান্য কাজ থেকে অনেকটা দূরে সরে যাচ্ছে।
৮)চুরি প্রবনতা বৃদ্ধি : পাবজির জন্য ল্যাপটপ প্যাড অথবা নূন্যতম ৪ জিবি র্যাম এর মোবাইল ফোন দরকার,বর্তমানে পাবজির প্রতিটি আপডেট এ এর ডেটা সাইজ বৃদ্ধি করায় ৩ জিবি রেমের মোবাইল দিয়ে খেলা দু:ষাধ্য হয়ে পরেছে,যার কারনে অনেক তরুনই ভালো মোবাইল বা ল্যাপটপ কেনার জন্য চুরি বা হাতটানের পথ বেছে নিচ্ছে।
৯)আমাদের দেহ একটি সাইকেল এর মতো কাজ করে । এ দেহঘড়ি এলোমেলো হয়ে গেলে ডিপ্রেশান, দুঃশ্চিন্তা, মনোবৈকল্য, অনিদ্রা ছাড়াও ক্যান্সার বিশেষ করে নারীদের breast cancer ও পুরুষদের prostate cancer হতে পারে।
১০)রাতে কম ঘুমানোর ফলে মেলাটোনিন হরমোন সিক্রেট কম হয় এর অভাবে কোষীয় চক্রে অনিয়ম ও DNA damage কে ক্যান্সারের কারন হিসাবে ধরা হয়।
আপনি,আপনার সন্তান,ছোট ভাই,বন্ধু কিংবা আত্মীয় এই গেইমে আসক্ত হচ্ছে নাতো?
এখন সিদ্ধান্ত আপনার।
কী করবেন?
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন