জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সামনের ফাঁকা জায়গার (টিএসসি নামে পরিচিত) খিচুড়ির দোকান থেকে চাঁদার টাকা না পেয়ে খিচুড়ির পাতিল ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে জবি ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সাবেক সভাপতি তরিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক জয়নুল আবেদীন রাসেলের কর্মীদের বিরুদ্ধে।
জানা গেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের শীর্ষপদে রদবদলের ফলে ‘আমরা পুনরায় বহাল’ ঘোষণা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসি’র বিভিন্ন দোকান থেকে মিষ্টি খাওয়ার কথা বলে চাঁদা তুলছিল সভাপতি-সম্পাদকের অনুসারীরা। এসময় চাঁদার টাকা না দেয়ায় খিচুড়ির পাতিল ছিনতাই করে নিয়ে যায় তারা।
জানা গেছে, গত ১৪ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কমিটি রদবদলের রাতে ক্যাম্পাসে আনন্দ মিছিল করেন এবং পরদিন মিস্টি খাওয়ার নাম করে টিএসসিতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক ও বিবাহিত সভাপতি তরিকুল ইসলামের একান্ত আস্থাভাজন কর্মী অছাত্র তরিকুল রিমন, অ্যাকাউন্টিং বিভাগের ৭ম ব্যাচের (অছাত্র) মাসুম বিল্লাহ, ৯ম ব্যাচের আলমগীর মুন্সী, বাংলা বিভাগ ৭ম ব্যাচের(অছাত্র) সাইফ আহমেদ লিখন, ম্যানেজমেন্ট ১০ম ব্যাচের সামিউল তাছাহাব শিশির সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক জয়নুল আবেদিন রাসেলের একনিষ্ঠ কর্মী ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ৭ম ব্যাচের (অছাত্র) আব্দুল্লাহ আল মামুন, ইংরেজি বিভাগ ৯ম ব্যাচের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কৃত কামরুল ইসলামের নেতৃত্বে ১২-১৫ জন গিয়ে দোকানদারদের কাছে মিষ্টি খাওয়ার কথা বলে চাঁদা দাবী করে। এসময় খিচুড়ির দোকানদার টাকা দিতে না চাওয়ায় খিচুড়ির পাতিল ছিনতাই করে নিয়ে আসে তারা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক দোকানী বলেন, রোববার সন্ধ্যায় মাছুম, মামুন, আলমগীর, লিখন, শিশির, কামরুলসহ ১২-১৫ জন টিএসসিতে এসে প্রতি দোকান থেকে ২০ হাজার করে ও সিংগারা চমুচার দোকান থেকে ৫০ হাজার টাকা তাৎক্ষনিক চাঁদা দাবী করে। এসময় দোকানীরা এতো টাকা দিতে পারবে না বলে জানালে দোকানদার ইমনকে পাইপ দিয়ে মারধর শুরু করে। তাকে বাঁচাতে এলে আরো দুই দোকানিকে মারধর করে তারা। এরপর দোকানের ক্যাশ হাতিয়ে সব দোকান থেকে প্রায় ৫০ হাজার টাকা ও সিগারেটের প্যাক ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এসময় খিচুড়ির দোকানের ক্যাশে টাকা না থাকায় খিচুড়ির পাতিল ছিনতাই করে নিয়ে যায় তারা।
জবি ছাত্রলীগের সাবেক কর্মীদের এমন চাঁদাবাজির বিষয়ে জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজিসহ যারা জড়িত তাদের নাম পেলেই আমরা ব্যবস্থা নিবো। আমি সভাপতির সাথেই আছি। আমরা যে কোনো ধরনের অপরাধমূলক কর্মকা-কে প্রশ্রয় দেব না। কোন প্রশাসনকেও বলবো যাতে কোন ছাড় না দেয়া হয়।
এবিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বলেন, র্যাব ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের কাছে চাঁদাবাজদের একটি তালিকা চাওয়া হয়েছে। আমরা বিভিন্ন মাধ্যম থেকে চাঁদাবাজদের তালিকা তৈরি করছি। খুব শীঘ্রই আমরা এদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানিক সিদ্ধান্তও নেবো। এবিষয়ে সকলের সহযোগিতা দরকার।
সুত্রাপুর থানার ওসি কাজী ওয়াজেদ আলী বলেন, টিএসসিতে চাঁদাবাজির বিষয়ে আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ দেয়নি। চাঁদাবাজির বিষয়ে আমরা জিরো টলারেন্স রয়েছি। এবিষয়ে কেউ অভিযোগ দিলে আমরা ব্যবস্থা নেবো।
জানা গেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের শীর্ষপদে রদবদলের ফলে ‘আমরা পুনরায় বহাল’ ঘোষণা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসি’র বিভিন্ন দোকান থেকে মিষ্টি খাওয়ার কথা বলে চাঁদা তুলছিল সভাপতি-সম্পাদকের অনুসারীরা। এসময় চাঁদার টাকা না দেয়ায় খিচুড়ির পাতিল ছিনতাই করে নিয়ে যায় তারা।
জানা গেছে, গত ১৪ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কমিটি রদবদলের রাতে ক্যাম্পাসে আনন্দ মিছিল করেন এবং পরদিন মিস্টি খাওয়ার নাম করে টিএসসিতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক ও বিবাহিত সভাপতি তরিকুল ইসলামের একান্ত আস্থাভাজন কর্মী অছাত্র তরিকুল রিমন, অ্যাকাউন্টিং বিভাগের ৭ম ব্যাচের (অছাত্র) মাসুম বিল্লাহ, ৯ম ব্যাচের আলমগীর মুন্সী, বাংলা বিভাগ ৭ম ব্যাচের(অছাত্র) সাইফ আহমেদ লিখন, ম্যানেজমেন্ট ১০ম ব্যাচের সামিউল তাছাহাব শিশির সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক জয়নুল আবেদিন রাসেলের একনিষ্ঠ কর্মী ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ৭ম ব্যাচের (অছাত্র) আব্দুল্লাহ আল মামুন, ইংরেজি বিভাগ ৯ম ব্যাচের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কৃত কামরুল ইসলামের নেতৃত্বে ১২-১৫ জন গিয়ে দোকানদারদের কাছে মিষ্টি খাওয়ার কথা বলে চাঁদা দাবী করে। এসময় খিচুড়ির দোকানদার টাকা দিতে না চাওয়ায় খিচুড়ির পাতিল ছিনতাই করে নিয়ে আসে তারা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক দোকানী বলেন, রোববার সন্ধ্যায় মাছুম, মামুন, আলমগীর, লিখন, শিশির, কামরুলসহ ১২-১৫ জন টিএসসিতে এসে প্রতি দোকান থেকে ২০ হাজার করে ও সিংগারা চমুচার দোকান থেকে ৫০ হাজার টাকা তাৎক্ষনিক চাঁদা দাবী করে। এসময় দোকানীরা এতো টাকা দিতে পারবে না বলে জানালে দোকানদার ইমনকে পাইপ দিয়ে মারধর শুরু করে। তাকে বাঁচাতে এলে আরো দুই দোকানিকে মারধর করে তারা। এরপর দোকানের ক্যাশ হাতিয়ে সব দোকান থেকে প্রায় ৫০ হাজার টাকা ও সিগারেটের প্যাক ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এসময় খিচুড়ির দোকানের ক্যাশে টাকা না থাকায় খিচুড়ির পাতিল ছিনতাই করে নিয়ে যায় তারা।
জবি ছাত্রলীগের সাবেক কর্মীদের এমন চাঁদাবাজির বিষয়ে জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজিসহ যারা জড়িত তাদের নাম পেলেই আমরা ব্যবস্থা নিবো। আমি সভাপতির সাথেই আছি। আমরা যে কোনো ধরনের অপরাধমূলক কর্মকা-কে প্রশ্রয় দেব না। কোন প্রশাসনকেও বলবো যাতে কোন ছাড় না দেয়া হয়।
এবিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বলেন, র্যাব ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের কাছে চাঁদাবাজদের একটি তালিকা চাওয়া হয়েছে। আমরা বিভিন্ন মাধ্যম থেকে চাঁদাবাজদের তালিকা তৈরি করছি। খুব শীঘ্রই আমরা এদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানিক সিদ্ধান্তও নেবো। এবিষয়ে সকলের সহযোগিতা দরকার।
সুত্রাপুর থানার ওসি কাজী ওয়াজেদ আলী বলেন, টিএসসিতে চাঁদাবাজির বিষয়ে আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ দেয়নি। চাঁদাবাজির বিষয়ে আমরা জিরো টলারেন্স রয়েছি। এবিষয়ে কেউ অভিযোগ দিলে আমরা ব্যবস্থা নেবো।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন