স্টাফ রিপোর্টার: কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পুলিশ পরিচয়ে ব্যবসায়ীর উপর মাদক কারবারিদের হামলায় এক ব্যবসায়ী সহ তিন জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এঘটনায় বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে ৭ মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে চৌদ্দগ্রাম থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ মোতাহের হোসেন রানা (২১) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন চৌদ্দগ্রাম থানার এসআই আরিফ হোসেন।
জানা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের আমানগন্ডা তাকিয়া আমগাছ নামক স্থানে ব্যবসায়ী শামসুল হক তার নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অবস্থান করছিল। এসময় মোটরসাইকেল যোগে হেলমেট পরিহিত অজ্ঞাতনামা তিন যুবক দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে নিজেদেরকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে শামসুল হককে দোকান থেকে বের হয়ে আসার জন্য বলে। তিনি বের হতে অপারগতা প্রকাশ করলে ওই তিন যুবক ক্ষিপ্ত হয়ে দোকানের ভেতরে প্রবেশ করে শামসুল হককে এলোপাতাড়িভাবে মারধর শুরু করে।
এসময় চিৎকার শুনে শামসুল হকের স্ত্রী হনুফা বেগম ও পাশ^বর্তী আব্দুল মান্নানের ছেলে রাজন সহ এলাকার লোকজন এগিয়ে আসলে অজ্ঞাতনামা যুবকরা তাদের উপরেও হামলা করে গুরুতর আহত করে। এসময় এলাকাবাসীর সহযোগিতায় মোতাহের হোসেন রানা নামে একজনকে আটক করলেও অপর দু’জন দুর্বৃত্ত মোটরসাইকেল যোগে পালিয়ে যায়।
আটককৃত রানা এলাকাবাসী ও পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়ে জানান, তারা তিনজন মাদক ব্যবসায়ী। এলাকার চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ী মাসুদ রানা রসুলের ছেলে রিয়াদ, আব্দুল খালেকের ছেলে শরীফ, স্থানীয় ইউপি মেম্বার বাহার ওরফে বুলেট বাহার ও রূপ মিয়ার ছেলে মাসুম সহ আরো অনেকেই এ হামলার ঘটনার সাথে জড়িত।
পরে স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য হনুফা বেগম ও রাজনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
এবিষয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার এসআই আরিফ হোসেন বলেন, ‘এ ঘটনায় সাতজনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি মামলা রুজু হয়েছে। অভিযুক্ত এক আসামীকে ঘটনাস্থলে স্থানীয়রা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। আসামীরা এলাকার চিহিৃত ব্যবসায়ী’।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন