বুড়িচং উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মীর হোসেন মিঠু জানান, ওই পল্লী চিকিৎসক কয়েকদিন ধরে সর্দি, কাশি, জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। অসুস্থ অবস্থায় ঢাকার একটি হাসপাতালে নিয়ে যায় তার পরিবার। সেখানেই আজ মারা যান তিনি। তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১০ চিকিৎসকসহ ৬৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে, যা জেলায় এ যাবৎ কালের সর্বোচ্চসংখ্যক। এ নিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫২৬ জনে। নতুন করে জেলার মুরাদনগর ও ব্রাহ্মণপাড়ায় আরও দুজনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ জনে।
কুমিল্লা সিভিল সার্জন ডা. নিয়াতুজ্জামান শনিবার বিকেলে এসব তথ্য জানান।
সিভিল সার্জন বলেন, নতুন আক্রান্তদের মধ্যে কুমিল্লা মহানগরীর শাসনগাছা ও মহিলা কলেজ গেটে ৩ জন, আদর্শ সদরে ২ জন, নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৮ চিকিৎসক ও ৬ স্টাফসহ ২৫ জন, মুরাদনগরে ১৪ জন, সদর দক্ষিণে ৬ জন, লাকসামে ৭ জন, বুড়িচংয়ে ১ জন ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়াও জেলার মুরাদনগর ও ব্রাহ্মণপাড়ায় মারা গেছেন ২ জন।
সিভিল সার্জন আরও জানান, এ পর্যন্ত জেলা থেকে মোট ৬ হাজার ৫৫৪ জনের নমুনা পাঠানো হয়েছে এবং রিপোর্ট পাওয়া গেছে ৬ হাজার ২৪ জনের। এতে মোট ৫২৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। করোনা সংক্রমণে জেলায় এ পর্যন্ত মারা গেছেন মোট ১৯ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৮৮ জন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন